রাজশাহীর মোহনপুরে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার আত্মহত্যার আগে নিপীড়নের মামলা নিতে আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। চারদিন থানায় ঘোরার পর মামলা নেন থানার ওসি। এরপরও আসামীদের কটূক্তি ও মানসিক নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি বর্ষা। অপমান সইতে না পেরে সে অবশেষে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে, থানার ওসির অবহেলা খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওসিকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
বখাটের নিপীড়নে বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষা আত্মহননের ঘটনায় চলছে তোলপাড়। গেল ২৩ এপ্রিল দুপুরের পর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে বর্ষাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারই সহপাঠী সোনিয়া। এরপরই বিকেল ৩টার দিকে বর্ষাকে অসচেতন অবস্থা পাওয়া যায় বাগবাজার এলাকায়। সোনিয়ার সহযোগিতায় পাশের বাড়ির বখাটে ভ্যানচালক মুকুল তার ওপর নিপীড়ন চালায়। এ ঘটনায় থানায় গেলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বসিয়ে রেখেও মামলা নেননি ওসি।
ঘটনার পর তিনদিন নানা অজুহাতে থানার কয়েকঘণ্টা করে বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়েই বর্ষার বাবাকে বিদায় করে দেন ওসি আবুল হোসেন। অবেশেষে পুলিশ সুপারের নির্দেশে চারদিন পর মামলা হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি। এদিকে, বর্ষাকে নিপীড়ন ও আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলাই পাঠানো হয়েছে ডিবিতে। আর ওসির বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে ডিআইজি ও এসপি কার্যালয় থেকে থেকে গঠিত দুটি কমিটি কাজ করছে।
শারীরিক নিপীড়নের পর থেকে লাঞ্ছনা ও অপবাদ বাড়তে থাকায় গেল বৃহস্পতিবার নিজ ঘরেই গলায় ফাঁস দেয় বর্ষা। দুটি মামলারই প্রধান আসামী মুকুলসহ ৫ জন এখন জেলহাতে। তবে তার সহযোগী সোনিয়া জামিন নিয়ে লাপাত্তা।























































