আবা ডেস্ক:
কেশবপুরে ইরি ধানের ব্যাপক বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সোনার ফসল সময়মত ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে কয়েক জন কৃষক ইরি ধান কাটতে শুরু করেছেন। এবার কেশবপুর উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদোমে শুরু হবে ইরি ধান কাটার কাজ।
কৃষকরা সময়মত পানি, সার, কিটনাশক, ডিজেল জমিতে সরবরাহ করায় ইরি ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে কম-বেশি কৃষকের জমির ধান পাঁকতে শুরু করেছে। ফলন ভালো দেখায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃষ্টি না হওয়ায় খরচ বেশী হলেও ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খরচের টাকা পুষিয়ে নেবেন কৃষকরা। উপজেলার ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর সদর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, সাতবাড়িয়া, হাসানপুর ইউনিয়ন ও কেশবপুর পৌরসভাসহ অধিকাংশ গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে মাঠ জুড়ে ধানের ফসল। কৃষক তারিপ মোড়ল, রাজ্জাক মোড়ল, ইসলাম মোড়ল, নূর ইসলাম মোড়ল, খায়রুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, আব্দুল করিম, মহসিন আলী, আবু বক্কার, আমিনুর রহমান, সাত্তার গাজী, গণি মোড়ল, কামরুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আফসার দফাদার, মজিদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, পলাশ দাস, সজল মল্লিক, লিটন দাস, বিপ্লব রায়, দিবস রায়, তপু মজুমদার, জামাল সরদার, ওমর আলী সরদার, বাবর আলী সরদার, ইউনুস আলী সরদার, হাকিম সরদার, আজিজ সরদার, হামিদ সরদার, মজিবুর গাজী, লতিফ গাজী, নজরুল ইসলাম, আকব্বার আলী, মোস্তফা, নারায়ন সিংহসহ অনেক কৃষকরা জানান, এবার ইরি ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জমিতে সময়মত পানি, সার, ডিজেল, কিটনাশক সরবরাহ করায় ফসল ভালো দেখাচ্ছে। ধানের চারা রোপনের পর থেকে আমরা পরিচর্যায় গাফিলতি করিনি। সেকারণে এই সোনার ফসল দেখে আমাদের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এই সোনার ফসল আমরা সময়মত ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করছি। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা সাংবাদিকদের জানান, এই উপজেলার ১৫ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে এবার ইরি ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া যদি অনূকুলে থাকে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সময়মত কৃষকরা এই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।