কেশবপুর প্রতিনিধি ঃ যশোরের কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজান আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাড়িতে ব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও ভুয়া সনদে শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়াসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দুর্নীতির কবল থেকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে একজন সচেতন ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজান আলী গত ২৮/৮/২০১২ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে আইনের কোন তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। কম্পিউটার নিবন্ধন সনদ জাল করে হাছিনা খাতুন নামে এক জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়ে তাকে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলনে সহযোগিতা করে আসছে।
হাছিনা খাতুন ২০১৫ সালে পাস করলেও তাকে ২০১০ সালে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়া তিনি ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি উপবৃত্তির টাকা তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া ও ২৬ জুন তারিখে ভুয়া শিক্ষার্থীদের নামে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলে উপবৃত্তির টাকা তুলে আত্মসাৎ,সরকারের দেওয়া বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ বাড়ীতে নিয়ে ব্যবহার সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে।
আর এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কবল থেকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে ও দুর্নীতি বাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করতে সচেতন অভিভাবক শরিফুজ্জামান গত ১লা জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। এদিকে ঐ অভিযোগের পর বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নির্বাহি অফিসার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সুত্রে জানাগেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন প্রধান শিক্ষক শাহজান আলির দূর্নীতির তদন্ত চলমান রয়েছে দুষি প্রমান হলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সাংবাদিকরদর সাথে কথা বলতে চাইনা বলে ফোন কেটেদেন।