আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।।চাঙা পুঁজিবাজারে আবারো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দাম। দুর্বল কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ বিএসইসিকে দ্রুত খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এসব শেয়ারে কারসাজি হলে আবারো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ঢাকার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিলবাংলা সুগার মিলের গেল ১৯ জুলাই দাম ছিলো ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৯৭ টাকা। অন্যদিকে, একই সময়ের ব্যবধানে শ্যামপুর সুগার মিলের দর বেড়েছে ৩১ টাকা ২০ পয়সা।
দুটোই দুর্বল মৌলভিত্তির জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি। সবশেষ কবে প্রতিষ্ঠান দুটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে, তার কোনো তথ্যও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে নেই।
কোম্পানি আইন ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, ‘জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। এর কারণ হলো জেড ক্যাটাগরি তখনি হচ্ছে যখন এজিএম করতে পারছে না অথবা তারা ডিভিডেন্ট দিতে পারছে না অথবা তাদের ব্যবসা সাসপেন্ডেড হওয়া।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কিছু কিছু স্টক অতি মূল্যায়িত হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। সেখানে উলম্ফনের হার তাদের ফান্ডামেন্টাল দিয়ে জাস্টিফাই করা যাচ্ছেনা। এ জায়গাগুলোতে ডিএসই’র নজর দিতে হবে।
জেড শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির তদন্ত প্রয়োজন। সেইসঙ্গে এসব দুর্বল কোম্পানির বাজারে আসা বন্ধ করতে হবে কমিশনকে।ব্যারিস্টার এ এম মাসুম আরো বলেন, ‘অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এখানে কোন ইনসাইডেড ট্রেডিং হচ্ছে কিনা, কোন অ্যাকটিভ ট্রেডিং বো সিরিয়াল ট্রেডিং হচ্ছে কিনা। যদি পাওয়া যায় তাহলে সেকশন ২২ ও ২৪ দ্বারা শাস্তি দিতে হবে।’
ড. আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন, ‘নতুন কোম্পানি যেগুলো আনা হচ্ছে এগুলো যেন গুনগতভাবে উচ্চমানের হয়। সেখানে বিনিয়োগকারীরা যেন আইপিও’র মাধ্যমে প্রতারিত না হয়। আগে কিন্তু ভয়ানকভাবে হয়েছে, সে কারণে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলো।’
এখন জেড ক্যাটাগরির ৫৩টি শেয়ার রয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। যার মধ্যে ২৮টির দাম বেড়েছে সবশেষ কার্যদিবসে।
আমাদেরবাংলাদেশ/আরাফাত