সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা।। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির দুর্ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এবং এ সময় তিনি নৌ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারগুলোকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, আজ ০৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে আনুমানিক ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ঠাকরাকোনা যাওয়ার পথে গুমাই নদীর রাজনগর গ্রামের পার্শ্বে বিপরীত মুখি একটি বালুবাহী নৌকার সাথে সংঘর্ষে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় যাত্রীবাহী নৌকাটি ডুবে ২০/২৫ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়। এবং বাকিরা সাতরে নদীর কিনারে উঠে আসে। পরে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া ১০জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃতরা হচ্ছেন, ১) মো: রাকিবুল হাছান (২), পিতা- মৃত আ: ওয়াহাব; ২) লুৎফুর নাহার (২৫), স্বামী- আ: ওয়াহাব; ৩) হামিদা (৫০), স্বামী- আবু চান; ৪) সুলতানা বেগম (৪০), স্বামী- আ: করিম; ৫) মোজাহিদুল ইসলাম (৩), পিতা- জুবায়েল; ৬) লাকী আক্তার (৩০), স্বামী- হাবিবুর রহমান; ৭) টুম্পা (৪), পিতা- হাবিব; ৮) জাহিদ মিয়া (২); পিতা- হাবিব; ৯) অনিক (৫), পিতা- আলমগীর এবং ১০) মজিদা বেগম (৫০), স্বামী- ছায়েদ আলী।
এ খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী; ধর্মপাশা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান । ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় নিখোঁজ ব্যক্তি উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রয়েছে। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান ।