আজিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন, রতারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে, আর এগুলো ঢাকতেই অনেক ধরনের নাটক প্রদর্শন করছেন তিনি, যেমন স্কুলের নাবালক বাচ্চাদের নিয়ে মানববন্ধন, বিভিন্ন মিটিং এবংকি গভর্নিং বডির সভাপতি সহ এক যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছ, প্রধান শিক্ষক মহসিন আহমদ ইয়াছিনের, বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই পেতে হচ্ছে বড় ধরনের হুমকি, কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ সদস্যরা, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে, ঐ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে, সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন, সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকগণ জানান, যে আমরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম শুনেছি এবং তার প্রমাণও আছে, যার ফলে সভাপতি তোফায়েল আহমেদ লিটন, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন, কিন্তু আমরা মনে করি।
এরকম দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক, সাময়িক বহিষ্কার না হয়ে, যদি লজ্জা থাকে, তাহলে নিজের থেকেই পদত্যাগ করা উচিৎ, ছাত্র-ছত্রীদের সাথে মানববন্ধনের বিষয়ে কথা বললে, প্রায় ৮৯% ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, আমরা মিথ্যা মানববন্ধনে যেতে আগ্রহীনা কিন্তু স্যারেরা আমাদেরকে যেতে বাধ্য করেছে, এবংকি অবিভাবকেরাও এরকম মন্তব্য করেছেন, যে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানো হয় লেখাপড়ার জন্য, কিন্তু কোন মানববন্ধনের জন্য না, কিন্তু স্কুলের শিক্ষকরা মিলে আমাদের নাবালক বাচ্চাদের নিয়ে মানববন্ধন করে, আমরা তা ধিক্কার জানাই, এবং এরকম প্রধান শিক্ষকে পদত্যাগ চাই।
তাছাড়া শিক্ষকদের এরকম মিথ্যা নাটক বন্ধ করা উচিৎ, স্কুলের বিষয় সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যে আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই দেখছি প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছে, পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, স্কুলের সকল ধরনের হিসাব চাইলে, প্রধান শিক্ষক কোন হিসাব দিতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়, তদন্ত কমিটি জানান, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আমাদের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে, আমাদেরকে কোন হিসাব দেননি প্রধান শিক্ষক, তাছাড়া আমরা জানতে পেরেছি।
প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এজন্যই আমাদেরকে কোন হিসাব দেননি তিনি, সভাপতি আরও জানান, যে যার জন্য আজকের এই বাংলাদেশ, সেই বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতি করেও স্কুলের বিল বই বানিয়েছে প্রধান শিক্ষক, আমি এরকম দুর্নীতি ও বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতি করার কারণে থাকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি কোন উত্তর না দিয়ে, আমার উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে, এবং নাবালক বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন মানববন্ধন করে, বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতি এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে থাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি।