নিজস্ব সংবাদদাতা।। আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫জন-কে আটক করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব-৪,সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খানের কাছে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত্রে আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকায় শাহজাহানের বাঁশ বাগানে এ ঘটনা ঘটে।পরে ভুক্তভোগী র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দিলে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে ৫জন-কে গ্রেপ্তার করে পরে গতকাল রাত্রেই আটককৃতদের-কে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-(১)মো: মনিরুল ইলাম ওরফে পাপ্পু (২৫)পিতা সফুর উদ্দিন,গ্রাম বুড়িপাড়া,থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা।(২)মো: আহসান আহমেদ রায়হান (২২) পিতা মো: সফিজ উদ্দিন,গ্রাম নিশ্চিন্তপুর,থানা আশুলিয়া,জেলা ঢাকা।(৩) রফিকুল মিয়া (২২),পিতা মৃত মোজাফফর মিয়া,গ্রাম শ্রীপুর, মিঠাপুকুর,জেলা রংপুর।(৪) আরাবি হোসাইন শান্ত (১৯)পিতা মো: ওয়াদুদ জামান,গ্রাম দেলবাড়িয়া শেখরকান্দি,থানা নগরকান্দা, জেলা ফরিদপুর।(৫) মো:জুয়েল (২২)পিতা শহিদুল ইসলাম,গ্রাম পুরানবৌ লাইণ,থানা তারাইল,জেলা কিশোরগঞ্জ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ৭জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে রফিকুল,শান্ত ও জুয়েল আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়। এছাড়া মামলার পলাতক আসামীরা হলো-সাগর ওরফে লিটন (২২) ও তুহিন (২৩)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী ওই নারী পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। গত বৃহস্পতিবার রাতে পলাতক আসামী সাগর ভুক্তভোগী নারী ও তার এক বান্ধবীকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে ডেকে নেয়। সাগর ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত। পরে অভিযুক্ত পাপ্পু তাদের নিকট থেকে ব্লাকমেইল করে ৫ হাজার টাকা আদায় করে। পরের দিন পাপ্পু তাদের টাকা ফেরত দিবে বলে ভুক্তভোগীকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকার শাহজাহানের বাঁশ বাগানে নিয়ে যেতে বলে। পরে ভুক্তভোগী লিটনকে সাথে নিয়ে ওই স্থানে যায়। এ সময় পাপ্পু কৌশলে ভুক্তভোগীকে মাঠের পূর্বপাশে বাউন্ডারির শেষের দিকে নিয়ে যায় এবং তাকে কুপ্রস্তাব দেয়।
এ সময় মামলার সব আসামিরা সেখানে উপস্থিত ছিলো। একপর্যায়ে তারা ভুক্তভোগী-কে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পাপ্পু ও রায়হান জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া ভুক্তভোগীর আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দেয়।
উক্ত বিষয় আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস এর কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম-কে তিনি বলেন,উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।সেই সাথে আজ সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের-কে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভুক্তভোগী নারীকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
এবিডি.কম/রাজু