নিজস্ব প্রতিবেদক ।। আশুলিয়ার বগাবাড়ি এলাকায় খোকন মিয়া (২৮) নামের এক পোশাক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগে ১জন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ২টার সময় আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষায়-টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস) আরাফাতুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন গত ১০ জুন রাতে আশুলিয়ার বগাবাড়ি এলাকায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন খোকন।
তিনি আরও বলেন,গত ১০ জুন ভোর তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে বাইপাইলে নামেন খোকন ও তার স্ত্রী জাহিদা খাতুন। পায়ে হেটে বাইপাইল বগাবাড়ি এলাকার সুজুকি জাপান বাইক সিটির সামনে পৌছলে তাদের গতিরোধ করে পেশাদার ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে জামাই মাসুদ ওরফে রানা। পরে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে তাকে ঝাপটে ধরে খোকন। এসময় ওই ছিনতাইকারীর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে খোকনকে আঘাত করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এছাড়া নিহত খোকন,পিতা আকমল হোসেন,গ্রাম বালুয়া ভাটপাড়া,থানা মিঠাপুকুর,জেলা রংপুর। বর্তমান ঠিকানা আশুলিয়ার জিরাবো মাদবর বাড়ি এলাকায় শামসুলের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন।
পুলিশ জানায়,ঘটনার পরের দিন নিহতের স্ত্রী জাহিদা খাতুন ওরফে বন্যা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৩৪) দায়ের করেন। পরে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বাইপাইল এসএ পরিবহনের গলি থেকে ছিনতাইকারী মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে এসএ পরিবহনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কভারভ্যানের নিচ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলোঃ (১) মাসুদ ওরফে জামাই মাসু ওরফে রানা (৩৭) পিতা সোলেমান মিয়া,গ্রাম জামধলা,থানা পূর্বধলা,জেলা নেত্রকোনা। সে আশুলিয়ার বাইপাইল সহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো।
উক্ত বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস) আরাফাতুল ইসলাম বলেন,এস’পি স্যার এর নির্দেশে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে,এই অভিযান-টি তার একটি অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে সেই মামলায় তাহাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির,আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেনসহ প্রমুখ।
এবিডি.কম/সিয়াম