নিউজ ডেস্ক:
লোকসভা আগের আগে বিজেপিকে হঠাতে তৈরি হয়েছে মহাজোট। সেই মহাজোটে সামিল হয়েছেন বহু অবিজেপি রাজনৈতিক দল। মাস সাতেকের মধ্যে সেই সকল নেতাদের দেখা গিয়েছে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে। গত ১৯ জানুয়ারি সেই মহাজোটের মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।
সেই সমাবেশের মঞ্চে একাধিক অবিজেপি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং মিল্লিকার্জুন খাড়গে। দুই নেতার গলাতেই শোনা গিয়েছিল মোদী বিরোধিতার সুর। একই সঙ্গে কেন্দ্রে ফের মোদীর সরকার যাতে আর না গঠিত হয় তার জন্য এক সঙ্গে লড়াই করার কথাও শোনা গিয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত সেই সমাবেশের একই মঞ্চে হাজির ছিলেন দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা। তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও হাজির ছিলেন সেই মঞ্চে। কলকাতার পরে নিজের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের মাটিতেও মহাজোটের নেতাদের নিয়ে সমাবেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী শহর অমরাবতীতে আয়োজিত সেই সমাবেশে অবিজেপি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রকাশ্যে আমন্ত্রণও জানান নাইডু।
সেই চন্দ্রবাবু নাইডু-র সঙ্গেই আর পথ চলতে চাইছে না কংগ্রেস। এই বিষয়টি স্পষ্ট কএ জানিয়ে দিয়েছেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওমেন চ্যান্ডি। তিনি বলেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের ১৭৫টি বিধানসভা আসন এবং ২৫টি লোকসভা আসনে আমরা একাই লড়াই করব। জাতীয় স্তরে আমাদের সঙ্গে তেলেগু দেশম পার্টির জোট ছিল, রাজ্যে তেমন কোনও বিষয় নেই।” লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩ রাজ্যে কংগ্রেস বাস যাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন ওমেন। চলতি মাসের ৩১ তারিখ থেকে সেই যাত্রা শুরু হবে।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি তেলেগু দেশম পার্টি। প্রকাশ্যে দলের কোনও নেতাও মুখ খোলেননি। তবে অনেক নেতা কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বলে খবর মিলেছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তাঁদের যুক্তি, “কংগ্রেসের থেকে আমাদের আর কিছু পাওয়ার নেই। যা হয়েছে ভালোই হয়েছে।”