নিজস্ব প্রতিবেদক।। যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে আগত ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীদের ল্যাগেস সুবিধায় আনা অতিরিক্ত পণ্যের শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগীতা করছে অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা গনি। একাজে সরকার রাজস্ব হারালেও তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। রাজস্ব কর্মকর্তা গনির ইন্ধনে বেনাপোল সীমান্তের চিহ্নিত ল্যাগেস ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকির পণ্য পারা পারে যেন মহোৎসবে মেতেছে।
এছাড়া স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায়, চোরাচালানী সিন্ডিকেটের সদস্য গোয়েন্দা লিটন,সাদীপুর গ্রামের মাসুদ,শরিফুল,আফজাল,বড় আচড়ার ফিরোজ,আরিফ ও বিজিবি সোর্স তরিকুলের যোগসাজজে সিন্ডিকেট গড়ে চুক্তিতে ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীর সাথে আনা অতিরিক্তি পণ্য শাড়ী থ্রিপিচ,কম্বল,মদ,জিরা,
চকলেট,প্রসাধনী,মেডিসিন,মেডিকেল ইকুমেন্ট,কসমেটিক্স পণ্য চালান ছাড় করান নিয়ত। একাজে পাসপোর্ট যাত্রীকে ব্যাগ প্রতি গুনতে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা যার সিংহ ভাগ নেই রাজস্ব কর্মকর্তা গনি। এবং প্রতিদিন ভারত হইতে ৩ থেকে ৪শো যাত্রী বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে ঢুকে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাংলাদেশে বিক্রি করে ভারতে ফিরে যায়। সত্যতা যাচায়ে ইমিগ্রেশনে ঢুকলে ল্যাগেস ব্যাবসায়ীদের মালামাল সারিবদ্ধ ভাবে রেখে সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে চুক্তি করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজস্ব কর্মকর্তা গনির মুঠো ফোনে জানতে চাইলে ল্যাগেস ব্যবসায়ীদের কাছ হতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন সাংবাদিক ও স্থানীয়দের কিছু ছাড় দেওয়া লাগে। গত বুধবার (৭ মে ২৫) যশোর ৪৯ বিজিবির আই সিপি ক্যাম্পের সদস্যরা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চৌদ্দ লক্ষ আটানব্বই হাজার পঞ্চাশ টাকা মূল্যের ফেন্সিডিল,শাড়ী,কম্বল,কসমেটিক্স ও খাদ্য সামগ্রী আটক করেছে। বিজিবির আটককৃত মালামালের অধিকাংশই পাসপোর্ট যাত্রীর ল্যাগেস চেকিং কার্যক্রমে জব্দ হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামানের মুঠো ফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেনাপোল ইমিগ্রেশানে শুল্ক ফাঁকিতে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে সরকার রাজস্ব হারালেও উর্দ্ধতণেরা মুখে কুলুপ এটে বসে আছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে ল্যাগেস ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়লেও দেখার কেউ নেই।
এবিডি.কম/শিরিন আলম