ঢাকা।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, একটা খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আটকে রেখেছে (আশ্রয় দিয়েছে), তারাই আবার আইনের কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করল, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলল, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি এলিট ফোর্স র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক কজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ঢাকা। এ নিয়ে এক পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপও হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গটি আসে। এ সময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা (দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করব। আরেকটা সমস্যা হলো রাশেদ চৌধুরীকে তো আটকে রেখেছে তারা, দেয় না।
র্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে, তোমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও; র্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি।
র্যাবের প্রতি মানুষের একটা আস্থা আছে বলেও মনে করেন এ কে আবদুল মোমেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এ রকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের) এ রকম (নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে এমন রিপোর্ট করতে। উনি (অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে— আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি।
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনই পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বরং বলছি যে, ভালো কাজ করছি। তোমরা আমাদের সঙ্গে কাজ করো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। দোষারোপের মানসিকতা আমাদের নেই।