তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)সংবাদদাতা।। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় শাপলা আক্তার নামে এক স্মামী পরিত্যাক্তা প্রেমিকা বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক নাসিরের বাড়ীতে গিয়ে গত দুইদিন ধরে অনশন শুরু করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামে।তবে প্রেমিকা বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে প্রেমিক নাসির বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। জানাযায়, প্রেমিক নাসির উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের মৃত মুকিত আখঞ্জির ছেলে। গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার থেকে প্রেমিক নাসির উদ্দিনের বাড়িতে প্রেমিকা শাপলা বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন শুরু করলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক নাসিরের বাড়িতে অনশন করছে বলে জানাগেছে।
ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে ভিকটিমের সাবেক স্মামীর সঙ্গে তালাকের পর প্রেমিক নাসির আখঞ্জির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে প্রেমিক নাসির তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। প্রেমিকা শাপলা বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিক নাসির কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ে করবে করবে বলে সে এড়িয়ে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রেমিকা শাপলা জানতে পারে তার প্রেমিক নাসির তাকে বিয়ে না করে পাশর্বর্তী শিবরামপুর গ্রামের এক তরুনীকে আগামী ২১ ফেবব্রুয়ারী বিয়ে করবে। বিয়ের সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টারদিকে প্রেমিক নাসিরের বাড়িতে বিয়ের করার জন্য নাসিরের বাড়িতে আবস্থান নেয়। প্রেমিক নাসির তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়।
প্রেমিকা শাপলার মা জানান, আমি বৃহস্পতিবার একটি কাজে ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন। বাড়িতে এসে আমার মেয়ে শাপলা না পেয়ে পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার মেয়ে নাসিরের বাড়িতে বিয়ের জন্য আছে। তিনি বলেন, এলাকার সবাই জানে তার মেয়ের সঙ্গে নাসিরের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি নাসিরের বড় ভাই সামনুর আখঞ্জি কে কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেননি। তিনি আরো বলেন, গত দুই দিনের মধ্যে তার মেয়েকে স্বীকৃতি না দিয়ে নাসিরের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে ভয় ভীতি আর নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রেমিক নাসিরের বড় ভাই সামনুর আখঞ্জি জানান, এক স্মামী পরিত্যাক্তা নারী গত দুইদিন ধরে তাদের পুরাতন বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছে। তার ভাই নাসির বাড়িতে নেই। নাসিরের সঙ্গে পাশর্বর্তী গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। এরই মধ্যে এই নারী এসে বাড়িতে উঠেছে। এই নারী এর আগে আরো কয়েক যায়গায় বিয়ে হয়েছে। একটি প্রতিপক্ষ্য তাদের মানক্ষুন্ন করতে এ ধরনের ঘৃণ্যকাজ করিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন, এ ঘটনাটি উভয় পক্ষের লোকজন তাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি, তবে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ বিষয়টি অবগত করেনি।